অবশেষে খুলে গেল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা , মানতে হবে স্বাস্থ‍্য বিধি

24th June 2020 10:29 am হুগলী
অবশেষে খুলে গেল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা , মানতে হবে স্বাস্থ‍্য বিধি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : অবশেষে খুলে গেল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা দর্শনার্থীদের জন‍্য । তবে কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ‍্য বিধি জানিয়েছেন মন্দির কতৃপক্ষ । দক্ষিনেশ্বর , তারাপীঠ সহ অনান‍্য মন্দিরের দরজা খুলে দিলেও তারকেশ্বর মন্দির কবে খুলবে তা নিয়ে সঠিক করে কিছুই জানান নি মন্দিরের পরিচালকরা । তারকেশ্বর মূল অর্থনৈতিক বিকাশ এই প্রসিদ্ধ মন্দিরকে ঘিরেই । ভক্তরা যেমন হতাশ হয়েছিলেন তেমনি হতাশ হয়েছিলেন ব‍্যবসায়ী সহ লজ মালিকরা ।  ভক্তদের যাতায়াত বন্ধ থাকার ফলে মাথায় হাত পড়েছিল সকলের । অবশেষে বুধবার সকালে খুলে গেল ভোলানাথের দরজা । সকাল ৮:৩০ মিঃ থেকে ৯:৩০ মিঃ অবধি খোলা থাকবে মন্দির । স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে মুখে অবশ‍্য ই মাস্ক পড়ে আসতে হবে দর্শনের জন‍্য বলে জানানো হয়েছে । গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । শিবের মাথায় কেউ এখন ই জল ঢালতে পারবেন না । গর্ভগৃহের বাইরে জল ঢালতে হবে । নিয়ম যাই থাকুক মন্দিরের দরজা খোলার খবর পেয়ে খুশির হাওয়া গোটা তারকেশ্বরে । দীর্ঘদিন মন্দির বন্ধ থাকার পর প্রথম মন্দিরে ঢুকতে পেরে অনেক ভক্ত ই আবেগে জড়িয়ে ধরলেন মন্দির চত্ত্বরে থাকা যাঁড়ের মূর্তিকেই । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।